বিখ্যাত চিত্র পরিচালক ক্রিস্টোফার নোলানের একটি মুভি হলো ইনসেপশন। মুভির চরিত্ররা স্বপ্নকে নিয়ন্ত্রণ করতে পারেন। স্বপ্নের পরিবেশ কেমন হবে, তাও নিজেরাই ঠিক করতে পারেন। স্বপ্নের মাধ্যমে প্রবেশ করতে পারেন আরেক জনের অবচেতন মনের মধ্যেও। চুরি করে নিয়ে আসতে পারেন অবচেতন মনের তথ্য। অবচেতন মনে আবার কোনো ধারণাও বদ্ধমূলও করে দিতে পারেন তারা। এই শেষের ঘটনা নিয়েই মূলত মুভির কাহিনি। এরই নাম ইনসেপশন।
তবে এগুলো করতে পারার পূর্ব শর্ত হলো লুসিড ড্রিম। স্বপ্নচারী ব্যক্তি স্বপ্নের মধ্যেই যদি বুঝতে পারেন যে তিনি স্বপ্ন দেখছেন, তবে একে লুসিড ড্রিম বলে। এক সময় আমেরকিান সরকার এমনই একটি প্রোজেক্ট হাতে নিয়েছিল। উদ্দেশ্য ছিল, সামরিক বাহিনীর সদস্যদেরকে উন্নত প্রশিক্ষণ দেওয়া।
বৈজ্ঞানিক দৃষ্টিকোণ থেকে স্বপ্নের মাধ্যমে তথ্য চুরি বা ইনসেপশন সম্ভব নয়। কিন্তু চাইলে আপনি আপনার লুসিড ড্রিমকে কিছুটা নিয়ন্ত্রণ করতে পারেন। ইনসেপশন মুভির মতোই সাজিয়ে নিতে পারেন নিজের স্বপ্নের জগৎ। সেটা কীভাবে?
তার জন্যে প্রথমে দরকার হলো লুসিড ড্রিম দেখা। আপনি কখন লুসিড ড্রিম দেখবেন, তা তো আর আগে থেকে বলা যায় না। তবে কায়দা করে আপনি লুসিড ড্রিমের অভ্যেস তৈরি করে ফেলতে পারেন। একটি কৌশলের নাম হলো রিয়েলিটি চেক বা বাস্তবতার পরীক্ষা। দিনের যে কোনো সময়, যখনি সম্ভব, আপনার নিজের এবং পরিবেশের দিকে তাকিয়ে নিজেকেই প্রশ্ন করুন, ’আমি কি স্বপ্ন দেখছি?’ কাজটি যখন অভ্যাসে পরিণত হবে, তখন এটি ঘটবে স্বপ্নের মধ্যেও।
স্বপ্নের মধ্যে আমরা নিয়মিতই এমন এমন জিনিস দেখি, যেটা আসলে বাস্তবে সম্ভব নয়। যেমন সুপারম্যানের মতো ওড়াওড়ি বা অনেক লম্বা লম্বা লাফ দিতে পারা। অবশ্য উল্টো ঘটনাও ঘটে। যেমন অত্যাধিক ভয় পেয়েও দৌড়াতে না পারা। যাই হোক, রিয়েলিটি চেক করাকে অভ্যেস বানিয়ে ফেললে আপনি সহজেই স্বপ্ন ও বাস্তবতার ফারাক ধরে ফেলে ধীরে ধীরে লুসিড ড্রিম দেখতে পারবেন।
উপায় আছে আরেকটি। এটা হলো আরও প্রত্যক্ষ উপায়। এর নাম ওয়েক ব্যাক টু বেড বা জাগরণ থেকে বিছানায় প্রত্যাবর্তন টেকনিক। এক্ষেত্রে আপনার ঘুম থেকে ওঠার স্বাভাবিক সময়ের প্রায় দুই ঘণ্টা আগের সময়ে অ্যালার্ম দিয়ে রাখুন। এ সময় আমরা সাধারণত রেম (র্যাপিড আই মুভমেন্ট) ঘুমের মধ্যে অবস্থান করি। ঘুমের এ পর্যায়টি একটু দীর্ঘ এবং গাঢ়। অ্যালার্মের শব্দে জেগে উঠুন। প্রায় ২০ মিনিট পর ঘুমিয়ে পড়ুন আবারও। এ বিরতির সময়ে সাম্প্রতিক ঘুমের ম্মৃতি ভাবতে থাকুন বা কিছু অংশ লিখে রাখুন। সেটা এমন কিছু হলে ভালো হয়, যেটা স্বপ্নকে বাস্তবতা থেকে আলাদা করতে সহায়ক হবে। এবার নতুন করে ঘুমিয়ে পড়লে আপনার আগের ঘুমের স্বপ্ন আবার শুরু হতে পারে।
প্রযুক্তির সহায়তা নিয়ে এ কৌশলগুলোর কার্যকারিতে বাড়ানো সম্ভব। কিছু অ্যাপ ও স্লিপ মাস্ক আছে, যেগুলো অডিও এবং ভিজ্যুয়াল সিগন্যালের মাধ্যমে আপনাকে লুসিড ড্রিমরে জগতে নিয়ে যেতে পারে। তবে অ্যাপসগুলো সাধারণত শুধু নির্দিষ্ট সময় পর পর অ্যালার্ম দিয়েই দায়িত্ব শেষ করবে। তাই মূল ভরসা রাখতে হবে নিজের প্রতিই। আর একবার নিয়মিত লুসিড ড্রিম দেখা শুরু করলেই ড্রিমের পরিবেশ নিয়ন্ত্রণের চাবিও চলে আসবে আপনার হাতে।
সূত্রঃ
১। নিউ সায়েন্টিস্ট,
২। হাইস্লিপওয়ার্কস ডট কম,
৩। উইকিপিডিয়া।
তবে এগুলো করতে পারার পূর্ব শর্ত হলো লুসিড ড্রিম। স্বপ্নচারী ব্যক্তি স্বপ্নের মধ্যেই যদি বুঝতে পারেন যে তিনি স্বপ্ন দেখছেন, তবে একে লুসিড ড্রিম বলে। এক সময় আমেরকিান সরকার এমনই একটি প্রোজেক্ট হাতে নিয়েছিল। উদ্দেশ্য ছিল, সামরিক বাহিনীর সদস্যদেরকে উন্নত প্রশিক্ষণ দেওয়া।
বৈজ্ঞানিক দৃষ্টিকোণ থেকে স্বপ্নের মাধ্যমে তথ্য চুরি বা ইনসেপশন সম্ভব নয়। কিন্তু চাইলে আপনি আপনার লুসিড ড্রিমকে কিছুটা নিয়ন্ত্রণ করতে পারেন। ইনসেপশন মুভির মতোই সাজিয়ে নিতে পারেন নিজের স্বপ্নের জগৎ। সেটা কীভাবে?
তার জন্যে প্রথমে দরকার হলো লুসিড ড্রিম দেখা। আপনি কখন লুসিড ড্রিম দেখবেন, তা তো আর আগে থেকে বলা যায় না। তবে কায়দা করে আপনি লুসিড ড্রিমের অভ্যেস তৈরি করে ফেলতে পারেন। একটি কৌশলের নাম হলো রিয়েলিটি চেক বা বাস্তবতার পরীক্ষা। দিনের যে কোনো সময়, যখনি সম্ভব, আপনার নিজের এবং পরিবেশের দিকে তাকিয়ে নিজেকেই প্রশ্ন করুন, ’আমি কি স্বপ্ন দেখছি?’ কাজটি যখন অভ্যাসে পরিণত হবে, তখন এটি ঘটবে স্বপ্নের মধ্যেও।
স্বপ্নের মধ্যে আমরা নিয়মিতই এমন এমন জিনিস দেখি, যেটা আসলে বাস্তবে সম্ভব নয়। যেমন সুপারম্যানের মতো ওড়াওড়ি বা অনেক লম্বা লম্বা লাফ দিতে পারা। অবশ্য উল্টো ঘটনাও ঘটে। যেমন অত্যাধিক ভয় পেয়েও দৌড়াতে না পারা। যাই হোক, রিয়েলিটি চেক করাকে অভ্যেস বানিয়ে ফেললে আপনি সহজেই স্বপ্ন ও বাস্তবতার ফারাক ধরে ফেলে ধীরে ধীরে লুসিড ড্রিম দেখতে পারবেন।
উপায় আছে আরেকটি। এটা হলো আরও প্রত্যক্ষ উপায়। এর নাম ওয়েক ব্যাক টু বেড বা জাগরণ থেকে বিছানায় প্রত্যাবর্তন টেকনিক। এক্ষেত্রে আপনার ঘুম থেকে ওঠার স্বাভাবিক সময়ের প্রায় দুই ঘণ্টা আগের সময়ে অ্যালার্ম দিয়ে রাখুন। এ সময় আমরা সাধারণত রেম (র্যাপিড আই মুভমেন্ট) ঘুমের মধ্যে অবস্থান করি। ঘুমের এ পর্যায়টি একটু দীর্ঘ এবং গাঢ়। অ্যালার্মের শব্দে জেগে উঠুন। প্রায় ২০ মিনিট পর ঘুমিয়ে পড়ুন আবারও। এ বিরতির সময়ে সাম্প্রতিক ঘুমের ম্মৃতি ভাবতে থাকুন বা কিছু অংশ লিখে রাখুন। সেটা এমন কিছু হলে ভালো হয়, যেটা স্বপ্নকে বাস্তবতা থেকে আলাদা করতে সহায়ক হবে। এবার নতুন করে ঘুমিয়ে পড়লে আপনার আগের ঘুমের স্বপ্ন আবার শুরু হতে পারে।
প্রযুক্তির সহায়তা নিয়ে এ কৌশলগুলোর কার্যকারিতে বাড়ানো সম্ভব। কিছু অ্যাপ ও স্লিপ মাস্ক আছে, যেগুলো অডিও এবং ভিজ্যুয়াল সিগন্যালের মাধ্যমে আপনাকে লুসিড ড্রিমরে জগতে নিয়ে যেতে পারে। তবে অ্যাপসগুলো সাধারণত শুধু নির্দিষ্ট সময় পর পর অ্যালার্ম দিয়েই দায়িত্ব শেষ করবে। তাই মূল ভরসা রাখতে হবে নিজের প্রতিই। আর একবার নিয়মিত লুসিড ড্রিম দেখা শুরু করলেই ড্রিমের পরিবেশ নিয়ন্ত্রণের চাবিও চলে আসবে আপনার হাতে।
সূত্রঃ
১। নিউ সায়েন্টিস্ট,
২। হাইস্লিপওয়ার্কস ডট কম,
৩। উইকিপিডিয়া।
5 মন্তব্য(গুলি)
Write মন্তব্য(গুলি)Mr. Wynn, Las Vegas - DrmCD
ReplyCasino type. The casino offers live 안동 출장안마 dealers. For the best in online gaming, The 밀양 출장안마 casino's live poker หารายได้เสริม room is 남양주 출장안마 located in the dining area 양산 출장안마 and guests
Titi Omega's T-shirt | Tioga-arts
ReplyTiti Omega's titanium ingot T-shirt. T-shirt. The T-shirt titanium bikes is designed for women. titanium rainbow quartz T-shirt - T-shirt Size: where to buy titanium trim 10mm. camillus titanium
Skybet Casino | A Member of The Malta Gaming Authority
ReplySkybet Casino offers a unique gaming experience and top air jordan 18 retro racer blue the potential for a long-term profit. air jordan 18 retro red to my site Sign up best air jordan 18 retro red suede for our new sportsbook offer and air jordan 18 retro red to you receive a air jordan 18 retro red suede online store welcome
They 카지노 사이트 can also supply an ideal different finish up} broke or taking a break from the actual motion. We supply a lot of slots; subsequently, could be} spoilt for alternative in case you are a real slot lover. They have outstanding options, so your best will depend greatly on your private preferences.
ReplyExperience is the most important issue for CNC machinists, which is why many pros choose a degree or certification path. Many of those programs require apprenticeships, internships or externships which give students a chance to build Home Neck Massagers real-world expertise. Some firms do offer coaching programs for new spanking new|for model new} machinists, as nicely. Typically it takes round four or 5 years of mixed training and on-the-job coaching to turn into fully educated. Also, sandblasting removes harmful contaminants in an efficient cleansing process.
Reply